পর্ব (২৩০) “অর্পণ” উপন্যাস
রচনাঃ- কাঞ্চন চক্রবর্তী
মাতাদেবির মৃত্যুর পর আমি আর কখনও গাঁয়ে যাই নাই তো, তাই গাঁয়ে যাইবার কথা মনে করিয়া এমনটি হইয়া গিয়াছে,আমি তাহার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি” “তুমি আমার সহিত গাঁয়ে যাইতে হইলে আমার একটি সর্ত তোমাকে মানিয়া লইতে হইবে, অন্যথায় তোমাকে গাঁ দেখানো আমার পক্ষে সম্ভব নহে” “কি সর্ত?” “গাঁয়ে যাইতে হইলে গাঁয়ের মনুষ্য যেমনে বসবাস করিয়া থাকে বা যেমন পোষাক পরিধান করিয়া থাকে, ঠিক তেমন করিয়া তোমাকেও তেমন পোষক পরিধান করিতে হইবে,কোন প্রকার হিট বা নগ্ন পোষক পরিধান করা যাইবে না, আর আমার হস্ত ধরিতে পারিবে না এবং আমাকে কোন প্রকার জড়াইয়া ধরিতে পারিবে না, তুমি যদি এই বাক্যগুলি মানিয়া লইতে পারো তাহা হইলে ভাবিয়া দেখিবো, অন্যথায় তোমার গাঁয়ে যাইবার প্রয়োজন নাই, আশাকরি তুমি আমার বাক্য বুঝিতে সক্ষম হইয়াছো” “ঠিক আছে অর্পণদা তোমার বাক্য আমার শিরোধার্য” অর্পণ কক্ষে হইতে বাহির হইয়া গেল রেখা তাহার পিছু-পিছু