পর্ব (২৩১) “অর্পণ” উপন্যাস
রচনাঃ- কাঞ্চন চক্রবর্তী
কক্ষ হইতে বাহির হইয়া পিতার কক্ষে গিয়া পিতাকে বলিলো “পিতা আমাকে পঞ্চাশ হাজার অর্থ দাও” “পঞ্চাশ হাজার অর্থ দিয়া তুমি কি করিবে?” “বাহ্ তুমি কি বলিতেছো? গ্রামে যাই বার পূর্বে একটা দামি শাড়ি ক্রয় করিবো,” “শাড়ি? তুমি শাড়ি কি করিবে?” “আমি শাড়ি পরিধান করিবো, তাহা ছাড়া আরো অনেক কিছু ক্রয় করিতে হইবে, অতশত তুমি বুঝিবে না” তাহার কন্যা যে হিট পোশাক পরিত্যাগ করিয়া পল্লী বালার ন্যায় শাড়ি পরিধান করিবে ইহা যে সে ভাবিয়া কূলকিনারা করিতে পারিতেছে না,যে বোম্বের নটীর ন্যায় হিট পোশাক ছাড়া অন্য পোশাক পরিধান করিতে অপারোগোতা প্রকাশ করিতো সে কিনা আজ বাংলায় ললনার ন্যায় শাড়ি পরিধান করিবে, কি ব্যাপার মস্তক একেবারে গোলাইয়া যাইতেছে, কি হইলো তাহাকে কি ভূতে ধরিয়াছে? তাহা হইলে এসবের পশ্চাতে কি অর্পণের হস্ত রহিযাছে? এমন পরিবর্তন দেখিয়া নিশিথবাবু একেবারে অবাক হইয়া গেল, যাক
চলবে।