পর্ব (২৩৯) “অর্পণ” উপন্যাস
রচনাঃ- কাঞ্চন চক্রবর্তী
তাহার কান্ড দেখিতে বেশ মজা পাইলো, বয়সের সাথে-সাথে মনুষ্য গনের বিবেক বুদ্ধি বিকোসিত হয়, আমরা তাহা সকলেই জানি,কিন্তু রেখার ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনাই, উচ্চবিত্ত গৃহের আদরের দুলালি বাস্তবকে নিকট হইতে দেখা হয় নাই, শুধুমাত্র আবেগকে সম্বল করিয়া জীবনকে উপভোগ করিয়াছে,তাই বাস্তব যে বড় কঠিন তাহা সে একবিন্দু পরিমান উপলব্ধ করিতে পারে নাই, এটাই তার জীবনের বড় ব্যর্থতা, অর্পণ বলিলো “চলো-চলো বড্ড দেরি হইয়া গেল, হ্যা চলো” ষ্টেশনে পৌছাইলে রেল যন্ত্রযান আসিয়া গেল উভয়ে চাপিয়া বসিলো” তাহাদের নিজ-নিজ আসনে,সমুখের আসনে বসা একজন নারী বলিলো “কিরে রেখা কোথায় চলিলি?” “দুর্গাপুরে” “শশুরবাড়ি বুঝি? তা ওটা বুঝি তোর শ্বামী?” হ্যা, তোর বিবাহে তো আমাদের নিমন্ত্রন করলি না পালিয়ে বিবাহ করলি বুঝি?” রেখা বিরক্ত হইয়া বলিলো হ্যা” “হ্যারে তোর শ্বশুরগৃহ বুঝি দুর্গাপুরে? তোর স্বামীকে তো আমার সহিত পরিচয় করাইয়া দিলি না,
চলবে।