(২৪৩) “অর্পণ” উপন্যাস
রচনাঃ- কাঞ্চন চক্রবর্তী
“কেন?এ গৃহে কি আমার জন্য এক মুঠো অন্ন কি জুঠিবেনা?” “না-না আমি তাহা বলিনাই, আমি বলিতে চাহিয়াছি যে এখানে বিদ্যুৎ,এসি পাখা বিজলীবাতি এসব কিছুই নাই, তুমি নিদ্রা যাইতে পারিবে না, তাহাছাড়া আমরা তো লণ্ঠন জালাইয়া রাতের কর্ম সমপন্ন করিয়া থাকি তাই” “মাত্র দুটি নিশির জন্য কোন প্রকার অসুবিধা হইবে না” অর্পণের মাতাদেবি জলআর বাতাসা লইয়া আসিলো, “এটা মুখে দাও মা” “এটা কি?” “বাতাসা আর জল” “রাখুন এক্ষনি আহার করিতেছি, কাকিমা আপনার পুত্রকে বলুন সে যেন অপরাহ্নে আমাকে গাঁয়ের সমস্ত কিছু দেখাতে লইয়া যায়” “অবশ্যই লইয়া যাইবে, অর্পণ তোমরা হস্ত ও মুখমন্ডল ধৌত করিয়া এসো আমি মর্ধান্য ভোজনের ব্যবস্থা করিয়াছি” “হ্যা কাকিমা আমরা আসিতেছি,মদ্ধবিত্ত হিন্দু গৃহে আজও নক্সিকাথার প্রচলন রহিয়াছে, নক্সিকাঁথা যুক্ত আসনে বসিয়া আহার গ্রহন করা হইয়া থাকে, এখনও তাহার ব্যতিক্রম নহে,এটা হিন্দুয়ানী রিতি বলিতে পারেন কিন্তু শহরে এই রীতি
চলবে।