(২৪৫) “অর্পণ” উপন্যাস
রচনাঃ- কাঞ্চন চক্রবর্তী
একাদশী তাহার উপর বাক্ষণ,হিন্দু শাত্র যাহারা মানিয়া চলে তাহারা একাদশীর অগ্রেরদিন নিরামিষ আহার করিয়া থাকে,তাই নিতাইবাবুর স্ত্রী এমন ব্যবস্থা করিয়াছে, রেখা সামান্য মুখে তুলিয়া গলধো করন করিতে পারিলো না,কারন এমন সস্তা আহার সে গ্রহন করিতে অভ্যস্ত নহে,একেই নিরামিষ তাহাতে পিয়াজ রসুন বিহীন থালাতে জল ঢালিয়া উঠিয়া পড়িলো “কি হইলো মা তুমি কিছুই যে না খাইয়া উঠিলে?” “আমার ক্ষুদ নাই” “তাই বললে কি হয়?আমি বুঝিতে পারিয়াছি, তোমরা শহরে থাকো কতনা ভাল-ভাল খাবার তোমরা গ্রহন করিয়া থাকো, অর্পণ অপরান্হে হাট হইতে মাছ ও মাংসের ব্যবস্থা কর,অমন ধনী গৃহের কন্যা আমাদের ন্যায় এমন খাবার কি মুখে তুলিতে পারে?” “ঠিক আছে মাতা তুমি থলেটা দাওতো,কিন্তু মা তুমিতো মাছ মাংস খাওনা তাহা হইলে রন্ধনকর্ম কে সম্পন্য করিবে?” “তুই চিন্তা করিস না, পাসের গৃহের তোর চৈতালী কাকিমাকে বলিয়া রন্ধন কর্মের ব্যবস্থা করিবো” “ঠিক আছে মাতা থলেটা তো দাও” “এইনে থলে একটু দ্রতগতিতে আসিবার চেষ্টা করিও” “ঠিক আছে মাতা আমি চলিলাম,হাট হইতে অর্পণ মাছ মাংস বিরানীর চাউল সহ অন্যান্য প্রয়োজনি ও সব কিছু ক্রয় করিয়া আনিয়াছে, বিকালে রেখাকে লইয়া অর্পণ বাহির হইলো গাঁয়ে ভ্রমন করিবার উদ্দেশে,কিছুক্ষন হাটিবার পর রেখা কেমন জানি অসুস্থ্য হইয়া পড়িলো, “অর্পণদা আমার মস্তকে কেমন জানি যন্ত্রনা করিতেছে চলো ফিরিয়া যাই” দু’জনে গৃহে ফিরিয়া আসিলো, সন্ধ্যার পর রাতের আহার পরিবেশন করা হইলে রেখা খুব সামান্য আহার করিলো, এবং দ্রুতগতিতে বিছানায় শরীরটাকে এলিয়ে দিল,সংসারে দুইটি মাত্র কক্ষ,একটিতে নিতাইবাবু আর তাহার স্ত্রী, অন্যটিতে অর্পণ, কিন্তু আজ অর্পণের কক্ষে রেখা, আজ রাত্রিতে অর্পণের ঘুমাইবার কোন ব্যবস্থা নাই, তাই বাহিরের
চলিবে।