(২৪৯) “অর্পণ” উপন্যাস
রচনাঃ- কাঞ্চন চক্রবর্তী
বলিলো “পিতা-মাতা এই হইলো বিলাস ব্যানার্জী তোমাদের রন্ধন কর্ম সম্পন্ন করিবে, আর এহলো কাশিনাথ,বাজার করাসহ তোমাদের জামা কাপড় পরিস্কার করাসহ সমস্ত বিষয় দেখা শোনা করিবে” “কেনরে বাবা আমি এখনও রন্ধনকর্ম করিতে পারি, তাহা ছাড়া মাত্র দু’জনের কর্মকি করিতে পারিবো না?” “তোমরা জিবৎদশায় অনেক কষ্ট করিয়াছো এখন শুধুমাত্র ধর্মকর্ম ও বিশ্রাম করিয়া জীবন কাটাইয়া দিবে তাতেই আমার সুখ” অর্পণ রসিকতা করিয়া বলিলো “এবার চলো তোমাকে তোমার পিত্রালয় রাখিয়া আসি তাহা না হইলে তোমার পিতা রাগানিত হইতে পারেন” “স্বামিগৃহ ত্যাগ করিয়া কোন স্ত্রী কি পিত্রালয় থাকিতে পারে?” “বাক্যটি সঠিক বলিয়াছো,তবে বিবাহের পর অগ্রে নহে আমি কি সঠিক বলিলাম?” “হ্যাঁ সঠিক বলিয়াছো, ওকে তাই হইবে” ” ঠিক আছে চলো” “কাশি,বিলাস তোমরা সকলে মিলিয়া আমার পিতা-মাতাকে দেখিয়া রাখিবে, তাহাদের যেন কোন প্রকার কষ্ট না হয়” “আজ্ঞে মনে থাকিবে” “চলো এবার যাওয়া যাক” অর্পণ অটোতে চাপিয়া বসিল
চলিবে।