২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পর বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ট্রলার ভরে ভরে ইলিশ নিয়ে কূলে ফিরছেন জেলেরা। এসময় সবার মুখে সান্ত্বনার হাসির দেখা মিলেছে। শুধু ইলিশই নয়, এসময় জালে ধরা দিয়েছে বড় বড় রূপচাঁদাসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। এদিকে, সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ায় আড়তগুলোতে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য।
কক্সবাজারে টন-টন ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরতে দেখে গেছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। ঘাট থেকে ডিঙি নৌকায় ঝুড়ি নিয়ে গুদাম ঘরে তোলা হচ্ছে ছোট-বড় ইলিশ। ইলিশের সংখ্যা বাড়ায় দামও সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। ব্যবসায়ীরা পাইকারি দামে বিক্রি করে ট্রাকে ট্রাকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় ইলিশের চালান পাঠাচ্ছেন। জেলেরা জানান, অনেক দিন মাছ শিকার বন্ধ থাকায় অনেক দুঃখ-কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে হয়েছে। তবে সাগরে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় সেই দুঃখ-কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে।
“ভারতীয় প্রায় ৪০০-৫০০ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মাছ ধরে নিয়ে যায়, এতে করে বাংলাদেশের জেলেরা কাঙ্খিত মাছ পাচ্ছে না।” — বাংলাদেশি জেলেদের অভিযোগ।
গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ১ নভেম্বর মঙ্গলবার একদিনে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মজুত মাছের পরিমাণ ১৮ টন। আগের দিন ৩১ অক্টোবর মজুত হয় ১২ টন। তবে জেলেদের অভিযোগ, ভারতীয় প্রায় ৪০০-৫০০ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মাছ ধরে নিয়ে যায়, এতে করে বাংলাদেশের জেলেরা কাঙ্খিত মাছ পাচ্ছে না। এদিকে, কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ট্রলার আরও ফিরলে দাম আরও কমতে পারে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।