আজকাল অনলাইনে নানান পণ্য, বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা প্লট বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে একটা সম্পূর্ণ গ্রাম বিক্রি হওয়ার নজির নেই বললেই চলে। পৃথিবীর ইতিহাসে গ্রাম কিংবা দেশ বিক্রি হয়েছে আরও শত বছর আগে যখন গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটা ছিল না। কিন্তু এবার গ্রাম বিক্রির বিষয়টি সামনে আসায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ওই গ্রামটির নাম, সালতো দে কাস্ত্রো। প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ইউরো (৩ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা) দামে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন গ্রামটির বর্তমান মালিক রনি রদ্রিগেজ।
জানা গেছে, প্রায় তিন দশক ধরে জামোরা প্রদেশের পর্তুগাল সীমান্তবর্তী এ গ্রাম পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। গ্রামটি যেখানে অবস্থিত, সে এলাকাটি ‘শূন্য স্পেন’ নামে পরিচিত। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে গাড়িতে করে প্রায় তিন ঘণ্টা দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রাম। গ্রামটিতে ইতোমধ্যে ৪৪টি বাড়ি, হোটেল, চার্চ, স্কুল ও সুইমিংপুল ইত্যাদি রয়েছে। এত কিছুর থাকার পরেও এখানে অন্যান্য জনপদের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রায় নেই বললেই চলে। ১৯৫০ সালের দিকে স্পেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা ইবারডুরো গ্রামটি তৈরি করেছিল জলাধার তৈরি করা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্য। তবে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর হঠাৎই বাসিন্দারা সেখান থেকে সরে যেতে থাকেন। তারপরই ১৯৮০ সালের শেষ দিকে গ্রামটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
পরে ২০০০ সালে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য রনি রদ্রিগেজ গ্রামটি কিনে নেন। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটসহ নানা কারণে তা আর বাস্তবায়িত করতে পারেননি তিনি। তবে গ্রামটি বিক্রির খবর শোনার পর থেকে এখানে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। গ্রামটির মালিক রদ্রিগেজ জানান, এর আগেও তিনি গ্রামটি ৬৫ লাখ ডলারে বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেই দামে তখন গ্রামটি কিনতে রাজি হয়নি কেউই। তবে এখন যে দাম হাঁকানো হয়েছে, তা শুনে অনেকেই তাতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কারণ এ দাম দিয়ে বার্সেলোনা বা মাদ্রিদের মতো শহরে সর্বোচ্চ এক বেডরুমের ছোট একটি ঘর কিনে ফেলা সম্ভব।