কলমেঃ–মৃদুল সাহা
নয়নে কাজল মেখে রাখ দেখুক আকাশের মেঘ,
পড়তে পার লাল বেনারসি ,পলাশ মাখুক একটু আবেগ।।
মাখতে পার লাল কুমকুম, সন্ধ্যার একটু আবির,
কল্প লোকের মায়াবী ইশারায় অনেক কথার ভীড়।
পড়ে নাও কানে তোমার, কড়া ঘ্রাণের ছাতিম ফুলের দুল,
নিরাল দুপুরে বসন্তের বাতাস দোলয় যেমন সোনালী ফুল।
মরালী গ্রীবায় ভোরের শিশির মাখে চকচক সোনা রোদ্দুর,
রেশমী আঁচলে আঁকা বাঁকা ঢেউ নদী ঝিকমিক দুপুর।
কি সুখে শিশির পড়ায় নুপুর তোমার চরন কমলে,
জোছনা রাতে কামিনী জড়িয়ে সোহাগে কি কথা বলে ?
মনের অজান্তেই ঝরে পড়ে প্রভাতের সিক্ত শিউলি,
নির্বাক চোখ শুধু চেয়ে দেখি, হাতে স্তব্ধ রং তুলি।
বৈশাখী বৃষ্টির জলে ভেজা চিরন্তনী সুপ্ত যৌবন,
অভিসারী নদীর মতো চায় তীব্র সুখের আলিঙ্গন।
গমনে শস্যের ক্ষেতে দোল শরতের শীতল হাওয়া,
দৃষ্টি জুড়ে রাতের তটিণী-র হিল্লোল মিষ্টি মায়া।
নক্ষত্র জাগা নিঝুম প্রহরে তুমি কবিতার শব্দ ঋণ,
শ্রাবণ সন্ধ্যা কিবা শেষ বসন্তে নিঃসঙ্গ বেলা অমলিন।
ঘুর পাঁক খায় কত কথা নকশী স্মৃতির আলোর রেখা
তুমি আছ আমিও আছি শুধু জলের আয়নায় দেখা।
—————–
মনোমুগ্ধকর
মনোমুগ্ধকর লেখনী কবি