তোমাকে দেখব বলে!
নন্দকুজ্জ্বা থেকে ব্রহ্মপুত্রের জল করেছি একাকার
পলকে প্রহর গুনে গুনে করেছি অপেক্ষার রাত্রিপার।
মনের আকাশে জাগিয়েছি স্বপ্নের হাজারো শুকতারা
কল্পনার ক্যানভাসে এঁকে শতবার হয়েছি আত্মহারা।
তোমাকে দেখব বলে!
শহরের সরাইখানায় করেছি অপেক্ষার নিশিযাপন
তোমার শহরেই থেকেছি করেছি কল্পনায় আলাপন
মাহমুদউল্লাহর প্র্যাকটিস দেখেছি গাঙনীপার্কে বসে
পালের নৌকা নোঙর তুলেছে প্রেম পরসা বিলাসে।
তোমাকে দেখব বলে!
আনন্দমোহন কলাভবনে গুনেছি লক্ষ মিনিট প্রহর,
ত্রিশাল ভার্সিটি বকুলতলার হাজারো স্মৃতির আসর।
ঘুরেছি শশীলজ থেকে মুক্তাগাছা গিয়েছি শতবার
কষ্টগুলো করেছি আপন দুঃখকে ভেবেছি অপার।
তোমাকে দেখব বলে!
বাড়ির অনুমতি পেতে করেছেি কত-শত বাহানা
হাজারো যুক্তিতর্কে জিতেছি যতই করেছে না না।
কিনেছি নাটোরের কাঁচাগোল্লা চেয়েছিলে তুমি খেতে
পায়ের নূপুর বানিয়েছিলাম শ্রেষ্ঠ স্বর্ণদোকান হতে।
তোমাকে দেখব বলে!
ভেসেছি আনমনে আমি বার বার হাকালুকি থেকে চলনবিল,
খুঁজেছি পাহাড়-পর্বত, হাওড়-বাওড় থেকে নদী-খাল বিল।
রপ্ত করেছি” মারিয়া ভূঙ্গের তীর” তোমার গাওয়া গান
বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখা হয়নি আজো তুমি রইলে স্মৃতিতে অম্লান।
তোমায় দেখব বলে হেঁটেছি আমি মনের হিমাচল থেকে মহাকাল,
আমিত্বেই তুমি বন্দী থাকো আসবে না ফিরে আর সাক্ষাতের সকাল।
উৎসর্গঃ প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ।