নাটোরে একটি মামলায় আসামির পক্ষে হাজিরা দিতে এসে ধরা পড়া দুই ভুয়া আসামিকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
“ভুয়া হাজিরা দিতে আসা জাবেদ আলী এবং মো. মুজাহিদকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।” — মো. রফিকুল ইসলাম, আদালত পুলিশ পরিদর্শক, নাটোর জেলা।
গতকাল সোমবার (১৪ নভেম্বর) নাটোরের সংক্ষিপ্ত বিচার আদালতের প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত-৪-এর বিচারক মো. আবু সাঈদ এই আদেশ দেন। ভুয়া হাজিরা দিতে যাওয়া জাবেদ আলী বড়াইগ্রাম উপজেলার গারফা মৎস্যজীবীপাড়া গ্রামের বদরুদ্দীনের ছেলে এবং একই গ্রামের মো. মোজাম্মেলের ছেলে মো. মোজাহিদ। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. শহিদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বড়াইগ্রামের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ওই মামলায় ২৭ জন আসামির হাজিরার দিন ধার্য ছিল।’ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় আদালত জানতে পারে জাবেদ আলী তার ছেলে তাইজুলের পরিবর্তে হাজিরা দিতে এসেছেন এবং মুজাহিদ তার বড় ভাই জাকারিয়ার পরিবর্তে হাজিরা দিতে এসেছেন। এ সময় গ্রেপ্তার জাবেদ এবং মোজাহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ সময় আদালত ভুয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠান। নাটোর জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভুয়া হাজিরা দিতে আসা জাবেদ আলী এবং মো. মুজাহিদকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’