বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটির। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যা নির্ভূলভাবে গণনা করা খুবই কঠিন কাজ, তবে ১৫ নভেম্বর বিশ্ব জনসংখ্যা ৮০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
“১৯৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা যা ছিল, আজকের সংখ্যা তার তিনগুণ। বিশ্বে যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি জনসংখ্যার জন্য ‘দীর্ঘ আয়ু’কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।” — জাতিসংঘের প্রতিবেদন।
বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি পূর্ণ উপলক্ষে ইউএন ডট ওআরজি কাউন্টডাউন শুরু করে। জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছানোর দিনটিকে পালন করতে নাম দেয়া হয় ‘ডে অব এইট বিলিয়ন’। জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা যা ছিল, আজকের সংখ্যা তার তিনগুণ। বিশ্বে যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি জনসংখ্যার জন্য ‘দীর্ঘ আয়ু’কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২০ সালে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশের নিচে নামে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, জন্মাহার কমেছে,নারীদের কম সন্তান হচ্ছে।
“বিশ্বে চীন ও ভারতে যৌথভাবে ১৪০ কোটি করে মানুষ বসবাস করে। কিন্তু জাতিসংঘের অনুমান, ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো চীনকে অতিক্রম করবে ভারত।” — জাতিসংঘের প্রতিবেদন।
প্রতিবেদন অনুসারে, বৈশ্বিক জনসংখ্যা বয়স্ক জনসংখ্যায় পরিণত হচ্ছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের ওপর। ২০৫০ সালে এটা ১৬ শতাংশে উন্নীত হবে। বিশ্বে চীন ও ভারতে যৌথভাবে ১০৪ কোটি করে মানুষ বসবাস করে। কিন্তু জাতিসংঘের অনুমান, ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো চীনকে অতিক্রম করবে ভারত। ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তার অর্ধেক হবে আটটি দেশে। সেগুলো হলো- গণপ্রজাতন্ত্র কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনস এবং সংযুক্ত তাঞ্জানিয়া।