কলমেঃ শুভায়ু মজুমদার।
কবে আছি কবে নেই, জানিনা তো কেউ,
শুধুই আশা নিয়ে বেঁচে থাকি, আর গুনে যাই,
জীবনের প্রতিটি দিনের ঢেউ l
নিত্য লড়াই করি মোরা, জীবন সংগ্রাম ঘিরে,
আর ভাবি মনে, আগামীতে নিশ্চয়
আসিবে সু-দিন ফিরে ll
দিনের শেষে আঁধার নেমে আসে,
প্রভাতের আলো, দেখা দিলে পরে
আবার শুরু হয় নিত্য নতুন সংগ্রাম
আমাদের প্রতিদিনের l
দিন যায়, মাস যায়, বৎসরও ঘুরে আসে,
কিন্ত, আমরা যে তিমিরে ছিলাম,
আজও সেখানেই আছি ঠাঁয় বসে ll
l
আমরা যে মুখ্যু-সুখ্যু হালের চাষা-ভূসা,
ক্লান্তিতে ক্ষয়ে, ক্ষয়ে,একদিন অবসাদ
নেমে আসে, তবুও মনের জোড়েই লড়াই
করে, আবার লাঙ্গল নিয়ে নেমে পড়ি মাঠে l
ভাবি মনে -মনে, ভাগ্যের চাকাও ঘুরে যাবে,
পরিবর্তন আসিবে নিশ্চয় কোনও একদিন ll
প্রভাতের সূর্য আবার হবেই রঙীন,
এই আশা নিয়েই বেঁচে থাকি মোরা নিত্যদিন l
সোনার ফসল ফলাই যারা ,মাঠে -মাঠে
, মাথার ঘাম পায়েতে ফেলে,
একদা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে,
অকালেই রোগে ভুগে মরি মোরা
সংসার টাকে ভাসিয়ে দিয়ে ঐ ঘোলা জলে ll
আমাদের খবর কে বা আর রাখে ?
আমরা যে মাঠের সেই চাষা-ভূসা,
দু- বেলা দু -মুঠো পান্তা, সঙ্গে পিঁয়াজ আর
দুটি লঙ্কা পেলেই আমরা ভাবি,এই তো বেশ
আছি মোরা খাসা l
কবি পরিচিচিতিঃ-
নামঃ- শুভায়ু মজুমদার।
পিতাঃ- ঈশ্বর সুবোধ চন্দ্র মজুমদার l
জন্ম ভিটাঃ- বাংলাদেশের ফরিদপুর টাউনে। কিন্তু ৮/১০ বৎসর বসন্তপুর নামক গ্রামেই ছেলে বেলা কেটেছে l তাই নদী-নালা, খাল, বিল কবির
মনের সঙ্গে মিশে গেছে l প্রকৃতিকে কবি খুবই ভালোবাসে l তাই কবির লেখার মাঝে অজান্তেই গ্রামের ছবি ভেসে ওঠে l এখনও কবি গ্রামের ছবি স্বপনে দেখে l বঙ্গ বিচ্ছেদের ফলে কবি এই বঙ্গে চলে আসেl বারাসাত govt কলেজ
থেকে পাশ করে বাংলায় অনার্স
নিয়ে পড়ে l কিন্তু দীর্ঘ 35 বৎসর একটি বিদেশী ঔষধ কোম্পানি তে
চাকুরী করেl বর্তমানে রিটায়ারমেন্ট এর পর মনের আবেগে লিখে যান কবি l
কবির ছেলেরাও ঔষধ কো. তে চাকুরী করে l যদিও বারাসাতে কবির বাড়ি তবুও ছেলের সঙ্গে কখনও কটক, কখনো মুম্বাইতে থাকে মাঝে মধ্যেই বারাসাত বাড়িতে আসে। কবি কবিতা, গল্প
রম্য রচনাও লেখেন l ২/৩ বইতে কবির লেখা ইতিমধ্যেই ছাপানো হয়েছে l বর্তমানে কবির বয়স আনুমানিক ৭৮।