1. fancy615439@gmail.com : Jannatul Ferdous Abodhi : Jannatul Ferdous Abodhi
  2. ahmedsuman307@gmail.com : Ahmed Suman : Ahmed Suman
  3. rakibowasim@gmail.com : Rakib-Ul Islam : Rakib-Ul Islam
কবিতাঃ- 'নারী' - এম:ইলিয়াস ঘরামী। 'কাব্য কথা' - দৈনিক সপ্তস্বরা
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

কবিতাঃ- ‘নারী’ – এম:ইলিয়াস ঘরামী। ‘কাব্য কথা’

Jannatul Abodhi
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১

নারী

কলমেঃ এম:ইলিয়াস ঘরামী

আবার এলাম নিপীড়ন অত্যাচারের শিরোনামে
বাস্তব সত্যের অভিধানে৷
মোমেনা আর তৈমুরের হলো বিয়ে
সংসার প্রীতির প্রেমের বন্ধনে৷
যৌবন তৈরী ভাসে প্রেমের সাগর বানে
আমি দেখিলাম স্বচোখের স্বজ্ঞানে৷
কিছু দিন এভাবে যায়
মার খায় মেমেনা৷
সমাজ তখনো এতো কিছু জানেনা৷
লাঠি বাঁশ যাহা কিছু পায়
পেটায় তৈমুর ছাড়েনা৷
কখনো কখনো জ্ঞান হীন মোমেনা
তবুও তৈমুর তারে ছাড়েনা৷
এভাবে পিড়ন চলিতে থাকে
দিনের পর দিন৷
বহুদিন দিন খায়না মোমেনা
তবুও মোমেনা স্বাসীর সংসার ছাড়েনা৷
জীবনের মায়া ছেড়ে
বেঁধে যায় মমতা বন্ধনা
নারী কোমলা বর্তী
তারি নাম মোমেনা৷
মোমেনা তখন দুই কন্যা সন্তানের জননী
বুক থেকে বাচ্চাদের ছাড়েনা
নারীর উপর অত্যাচার করতে
ভালোবাসে তৈমুর হায়না৷
একদিন তৈমুর মোমেনাকে মেরে
বাসা থেকে দিলো দুইদিন তাড়ানা
তবুও স্বামীর আশা মোমেনা ছাড়লোনা৷
এটা ছিল মোনেনার সাধনা
শতো দাগ নিয়ে
সয়ে যায় অসহায় মোমেনা৷
সমাজপতি বিচারপতিরা বসলো বিচার
দোষ নিদোষ নিয়ে খোঁজার বাসনা৷
বিচার হলো অতি সাশন সাশনায়
তৈমুর পূর্ণ দোষি বিচারপতিদের
শুনানির ঘটনা৷
তুমি কহ হে মোমেনা
তোমার স্বামীর ঘর করিবে কিনা?
সমাজপতিরে কহে মোমেনা
আমি স্বামীর ঘর সংসার ছাড়িবোনা৷
শাস্তির বিধান দিলো সমাজপতি
একশতো বার বেত্রাঘাত তৈমুরের মারোনা৷
তখন দৃঢ় নয়নে মমতার কম্পনে
কম্পিত হৃদয় খানা৷
শুরু হলো মার দশ বিশ বেত্রাঘাত
মোমেনা করিলো ক্রন্দনা
আমার স্বামীকে আর তোমরা মেরোনা৷
আছাড় দিয়া মোমেনা ঢাকিলো
তৈমুরের শরীর খানা,,
আহা আহা সমাজপতি
আর তোমরা মেরোনা
তৈমুরের ফিলো জ্ঞান
আহা রে মোমেনা
এতো দিনে তোমার প্রেম ভালোবাসা মমতা
আমি কেন জানিতে পারিলাম না?
তোমাকে কতো মেরেছি
কতো দাগ তোমার শরীরে
শতো চিহ্ন আমি দিলাম আঁকি,,
আজ তুমি আমার শাস্তিই
ঝোরাও অঝোর আঁখি৷৷
তোমার মমতা আমি মোমেনা
ভুলিবো কভু আর,,
বিচার পতিদের তৈমুর বলিলো
তোমরা মারো গো আমার৷
মোমেনা জোড়াইয়া ধরে
সমাজপতির পা দু খানা
মুক্তি দাও স্বামীরে কাঁদে মোমেনা৷

 

কবি পরিচিতিঃ-

এম:ইলিয়াস ঘরামী,,পিতা —মৃত মুছারালী ঘরামী —মাতা —মৃত আহিলা বেগম। কবির জন্ম ১৯৬০ সালে ২০শে জুলাই মাস, দক্ষিন চব্বিশ পরগণা, জয়নগর থানা, সুন্দর বন সার্কেল, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত বর্ষ৷৷বর্তমান শহর বাসি হলে৷ কবির জন্ম গ্রামে, কৃষক ঘরের সন্তান। বাবা ধানের ব্যবসা করতেন৷ তিন ভাই কোনো বোন নেই ৷বাবার দুই বিয়ে ছিলো কবির মা ছোটো বেগম৷৷ কবির বড়ো মা ভীষণ আদরের ছিলেন ৷বুকে করে রাখতেন সকল সময়৷ কবি নয় বছর বয়স হইতে কবিতা লেখা শুরু করেন। সেখান থেকে শুরু কবিতা লেখা এক দুটি গান ও লেখিছেন। সময়ে যুগের পরিস্থিতে চরম অভাব দারিদ্র এসে যায় সংসারে খুব দুঃখ কষ্টে বড় হয়েছেন কবি৷ কবি তখন ছোটো গণ দেশে আন্দলোনের মাঝে এক সময় সময় সম্পতির হারিয়ে লেখা পড়া বেশী দুর হয়নি মাধ্যমিক ব্যাক৷ এভাবে কবিকে কর্ম সন্ধানে বার হতে হয় বিভিন্ন জায়গায়৷ আজ পর্যন্ত কবির লেখার সংখ্যা ১১০৩৫—টি কবিতা ও ছোটো গল্প৷ ১৯৮৬ সালে একটি বই প্রকাশিত হয় “ক্লান্ত পথিক”। আর কোনো বই প্রকাশ করতে পারেননি আর্থিক কারনে৷

ফেইসবুক আইডি থেকে মন্তব্য করুন :

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সমজাতীয়
© All rights reserved © 2022 swaptasora
কারিগরি সহযোগিতায় : মোস্তাকিম জনি