কলমেঃ মহামায়া চ্যাটার্জী
কিছু বদ অভ্যাস কিছুতেই যায় না –
নিজেই নিজের প্রতিজ্ঞা রক্ষক হয় না ।
ভালোবাসতে মানুষ কতো প্রতিজ্ঞা লয় ,
কিছুদিন পর প্রতিজ্ঞা নিজেকেই ভুলতে হয়।
বিয়েরপিড়িতে পন্ডিত প্রতিজ্ঞা করায় মন্ত্রে মন্ত্রে
কিছু দিন পরে -প্রতিঙ্গা রক্ষা নাহি পায় ।
দিনদিন বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে চলেছে
ইহাই একটি কারন মনে হয় ।
প্রতিজ্ঞা এমনি একটি শব্দ –
রক্ষা না হলে ঘটাবে অনর্থ নিশ্চয় ।।
প্রতিজ্ঞা শব্দ পূরানো পরিচিত,
ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা মহাভারতে সমাদ্রিত ।।
রাজা সান্তনুর নজরে আসিলে সত্যবতীরে
সত্যবতী ছিলো রাজা ধীবর দাসের মেয়ে ,
দেবদত্ত সান্তনুর জেষ্ঠ পুত্র হয় –
অতএব রাজসিংহাসন পাবে দেবদত্ত নিশ্চয় ।
শর্ত লইতে হবে ভবিষ্যতে –
সত্যবতির পুত্রই সিংহাসন পাবে ।
একথা শুনিয়া সান্তনুর হৃদয়
পাগল হইলো চিন্তায় প্রায় ।
দেবদত্ত সুনিলো শর্তের কথা ,
নিজে গিয়া কহিলেন ,
সিংহাসন চাইনা দিলাম কথা ।
একথা শুনিয়া সত্যবতি কয় –
” তুমি ত্যাগ করিতে পার ,
তোমার সন্তান ছাড়িবে কেন,
কহো মহাশয় ।? ”
এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন দেবদত্ত
প্রতিজ্ঞা করিলাম , ” করিবো না বিবাহ ইহা কথা দিলাম “।
প্রতিজ্ঞা শুনিয়া আকাশে বজ্রপাত হয়,
আকাশ গর্জিয়া যেনো বিদ্যুৎ চমকায়।
এই ভীষন প্রতিজ্ঞা রচিত হইলো মহাকাব্য মাঝে,
সেই হ তে প্রতিজ্ঞা শব্দবলে , সবাই দেবদত্ত নয়
প্রতিজ্ঞা লঙ্ঘন করে স্বরশয্যায় যেতে হয়।।
তাইকি ! তোমাকে দেখি ভুলেছ আমায় !
কথা দিয়েছিলে সে কথা রাখিতে দেখিলামনা তোমায় । একদিন উত্তর দিলে আমায় ,
” আমি দেবদত্ত নয় । ”
আমি অপেক্ষায় আছি –
তোমার প্রতিজ্ঞা সব মনে আমিও রেখেছি ।।
কহিলে সজল নয়নে ,
” শিশুকাল হতে –
প্রতিজ্ঞা করেছি কতোবার ,
প্রতিজ্ঞা আমার সফলতা পায়নি একটিবার ।
প্রতিজ্ঞা করেছি মাকে বড় হয়ে রাখবো সুখে ,
ভাগ্য আমাকে হারিয়েছে বারবার ।
তোমাকে সুখি করতে গিয়ে হারিয়ে গেলাম নিজেই এবার ।
তাই আজ প্রতিজ্ঞা করতে ভয় পাই ,
প্রতিস্রতি প্রতিজ্ঞা সবার জন্য নয় –
মোরা দিন আনি দিন খাই ,
প্রতিজ্ঞা প্রতিস্রতি আমাদের জন্য
নয় ,
দেখো চেয়ে আমিও প্রতিজ্ঞা করে –
শুয়ে আছি গোলাপ গাছের কাঁটায়।।
কবি পরিচিতিঃ
নামঃ মহামায়া চ্যাটার্জী ।
পিতাঃ শ্রী নবকুমার মুখার্জী ।
তিনি চাকুরি জিবি ছিলেন
ছোটবেলা বাবার সাথেই ছিলো ছড়া ছন্দে ছন্দে কথাবলার খেলা ।ধাঁধা সাধারণ জ্ঞানের চর্চা । ভাইবোনদের মধ্যে আমারি সখ+ আনন্দ ছিলো বেশী । আমরা খেলা ছিলো পুতুলের স্কুল + পুতুলের একটা সুন্দর সংসার ।মাতা ছিলেন দয়াল সম্পূর্ন সংসারি মাকে দেখে দেখে সুষ্ঠ সংসার করা শিখেছি ।বাবা আমাকে একটু আলাদা নজরে দেখতেন ।ভালো কিনা জানি না, প্রচুর আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছি , বাবা কোথাও দূরে একা ছাড়তেন না । নাম যখন খুব প্রচার হতে লাগলো তত বাবার কাছে বিয়ের সম্বন্ধ আসতে লাগলো । আমি পড়াশুনা ছাড়া অন্য কথা ভাবতাম না , স্কুল ফাইনাল পরিক্ষার পর বেস কয়েকটা টিউশানি সুরু করলাম বাচ্ছাদের নিয়ে, ওদের মা বাবা আজো ামার সাথে যোগাযোগ রাখেন ।আমি আপ্লুতো আমার বেস কয়েকটি ছাত্র ছাত্রী ভালো প্রতিষ্ঠিত ওদের মধ্যে ডাক্তার উকিল টিচার র । আমার মা বাবা ছিলেন আমার বট গাছ ,মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম । নয় ভাইবোনের মধ্যে আমি বড় সন্তান ।
শিক্ষা -জীবনঃ প্রাথমিক শিক্ষা বাটা নঙ্গি বালিকা বিদ্যালয় , বাটানগর হাই স্কুল থেকে , মুরলিধরন গার্লসকলেজ ইকনমিক্স নিয়ে বিএ । মমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম মনে খুব ইচ্ছা ছিলো টিচার র যদি স্কুলে হয় ।ামি বি এড না করায় স্কুলে চাকরি পাই নাই , বিয়ের পর স্বামীর মত ছিলো না , উনি বলতেন ছেলের বড় করতে হবে তোমার হাতে ওরাই আমাদের ব্যাঙ্ক ব্যেলেন্স ।
পছন্দ আমার বই পড়া নানা বিষয় । ডাক্তারি বিদ্যা চর্চা আছে ,েটাই মনের কথা মরার আগে মরতে চাই না ।
আমার বেয়ান ক্লাসিক গানের টিচার, ামার লেখা দুই একটি গানের সুর দিয়ে অনেক কেই মুগ্ধ করেছেন ।
পুরস্কার ঃ বিভিন্ন অনলাইন সাহিত্য সংগঠন ও সাহিত্য পত্রিকা থেকে অসংখ্য সম্মাননা স্বারক পেয়েছি ।।
আজ তিন বছর আমি আমার জীবন সাথীকে হারিয়ে অসুস্থ ,কিন্তু আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আমার স্বহৃদয় পাঠক বন্ধুগণ । আপনাদের ধন্যবাদ দেবার ভাষা আমার কাছে নাই ।