কলমেঃ জেসমিন জেসি
ইগোর দহনে পুড়ে গেছে –
এক হাজার পঁচানব্বইটি দিন,
মিথ্যা দম্ভে ছিলাম ডুবে
ছিলাম অন্ধ তুমি বিহীন
প্রিয় বাবা,ক্ষমা কর আমায়।
দীর্ঘ প্রহর পেরিয়ে শত অপেক্ষায়
আজ নশ্বর অভিমানের হলো সাঙ্গ,
তুমি আমি আলাদা সময়ের মানুষ
প্রিয় বাবা, তোমার ভাবনাকে কুর্ণিশ
কিন্তু চর্চা করতে পারিনি বলেই;
সেদিন চরম অভিমানে বলেছিলে
আমার মুখদর্শন করতে চাওনা!
পাল্টা শতগুণ অভিমানে আমিও;
তবে তাই হউক গেলাম চলে
পাথর হৃদয়ে শুরু পথ চলা।
ঘোরেই কেটেছে বাকিটি সময়
আজ যখন ফিরতে চাইলাম
বাচ্চাদের মত হাউমাউ করে-
কেঁদে বললে ফিরে আয়;
এতদিন কোথায় ছিলি মা!
একবার বুকে আয় মা,
তোর মাঝেই খুঁজে পাই;
আমার হারিয়ে যাওয়া মা,
তখন পৃথিবীর সবকিছু মিথ্যা
সত্য শুধুই তুমি বাবা।
ছুটে গেলাম তোমার টানে
তোমাকে দেখেই ক্ষতবিক্ষত হৃদয়
বোবা কান্না চেপে রাখে
চোখের জলে সিক্ত হয়ে
নির্বাক হয়ে দেখলাম শুধু-
তোমার কুড়ে যাওয়া শরীর
যৌবনের দম্ভ হারানো চাতক,
গর্তে বোকা ঘোলাটে চোখ
ভাঙ্গা ভাঙ্গা শুকনো মুখ
অল্প সময়ের ব্যবধানে তুমি
কতটা পাল্টে গেছো বাবা!
তুমি আগের মত বুকে নাওনি!
বার্ধক্য একেবারেই অসাড় করেছে তোমায়,
প্রিয় বাবা, আমি ইগোতেই হেরে গেলাম
এটা হয়তো আমাদের শেষ সমক্ষ
হয়তোবা এভাবেই আবারও দেখা হবে।
আমাদের অন্তিম সাক্ষাৎ হবেনা বাবা
তুমি নিয়তিতে বিশ্বাসী, আমি নই
তবুও বলব এটাকে নিয়তিই ধরিও
অভিমান আমায় কয়লা গড়েছে পুড়ে
যদি পার ক্ষমা কর নিজ গুনে।
সংক্ষিপ্ত কবি পরিচিতিঃ-
নামঃ জেসমিন বিনতে আমির জেসি
পিতাঃ আমির হোসেন,কবির জীবনের পথ প্রদর্শক। ছোটবেলায় পরিবারেই চলতো নানা ছড়া কাটার, ছন্দে কথা বলার ও ধাঁধা বলার পাঠশালা, পরিবার থেকেই তিনি রপ্ত করেছেন বিভিন্ন কবির বই পড়ার অভ্যাস। পৃথিবীর সবচেয়ে সুশীতল ছায়ানীড় বায়নাধরা ও আবদারপূরণের শ্রেষ্ঠ ব্যাংক মাতা দিলারা বেগমের এর পঞ্চম সন্তান তিনি।কবি ১৫ নভেম্বর ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার চাঁপাছড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষা-জীবনঃ চাঁপাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় এস,এস,সি, হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে এইচ,এস,সি এবং একই কলেজে থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে বিএ ও এমএ পাস করেন।
পেশাঃ একটি বেসরকারি কোম্পানীর অফিসার হিসেবে আছেন চট্রগ্রাম এবং আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি মেটলাইফে এসোসিয়েট অফিসার হিসেবে তিনি নিয়োজিত রয়েছেন চট্টগ্রাম পাঠানটুলী এজেন্সিতে ।
পছন্দঃ বই পড়া ,সাহিত্য চর্চা করা ও ভ্রমণ করা।