কলমেঃ উদাসী গনেশ।
তোমার কাছে ঋণী, আমি তো চির ঋণী
হে প্রিয় প্রণয়িনী-
তোমার এ ঋণ শোধ হবেনা
কোনদিন, কোন দিন-ই।
তব করুণার বাণী,
যোগায়েছে হেন অধমের তরে মৃত্যু-সঞ্জিবনী।
ভালোবাসা বিনে হয়েছিনু যবে মৃত্যু পথযাত্রী,
তুমি ত্বরাইয়াছ মধু-বাণী দিয়া সাজি মম বিধাত্রী।
স্বার্থ-মগ্নতার কালকূটে পড়ি হইতেছিনু যবে ক্ষয়,
কেহ শুধায়নি-কিবা চাওয়া ছিল, কি ধন মাগে হৃদয়।
ত্রাহি ত্রাহি রবে নীরব পুকারে হারাইয়াছি মনোবল,
বাহিরেতে ছিল কৃত্রিম হাসি, হৃদয়েতে হলাহল।
হেন কালে তুমি আসি-
করুণার চোখে বাহু প্রসারিয়া শুধাইলে “ভালোবাসি”।
বুঝি; আজি তুমি দানিতেছ মোরে স্ব-হৃদয় স্বান্তনা,
কেবল কেবলই স্বান্তনা;
তথাপি কতক হইয়াছে লাঘব হৃদয়ে যন্ত্রনা।
মম, অসহায় চাহনি ফেলিতে না পারি হাসিতেছ মৃদু হাসি,
সে হাসি হৃদয়ে কুসুম হইয়া ফুটিতেছে রাশি রাশি।
নিকটে আসিয়া দেখাইতেছ যবে সহানুভূতির আশ,
তাহে ফিরে পাই আরো কিছুদিন বাঁচিবার প্রয়াশ।
ভাবিতেছ তুমি ‘সময় আসিলে কাটিয়া যাইবে মোহ’
এবে ধীরে ধীরে সরিয়া যাওয়া না হইবেক দুরুহ’।
আশির্বাদ করি তাহে তোমা পথ হউক চির সুখময়,
” আমি সরি’ যাওয়া” সেই যাওয়া যেন,
চিরতরে যাওয়া হয়।
অসাধারণ লেখনী